K.J.S.H.S |
রামজীবন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টি টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত মধুপুর উপজেলাধীন পিরোজপুর গ্রামে ১৯৯৪ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হয়ে আসিতেছে। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় হাওদা বিলের পূর্ব পার্শ্বে এবং শাল বনের দক্ষিণ পাশে একটি অনুন্নত পাহাড়ীয়া লাল মাটি এলাকা সমৃদ্ধ বাঙ্গালী ও নৃতাত্বিক জন গোষ্ঠীর সমন্বয়ে বসবাসকৃত দরিদ্র এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এক অজপাড়া গায়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে পিরোজপুর, চাপাইদ, কুড়াগাছা ও অরণখোলা নামক এই চারটি গ্রামে বি,এ,পাস শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন জন। যুগের চাহিদা পূরণ করনার্থে পিরোজপুর গ্রামের কয়েকজন তরুণ, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত অন্ধকারে নিমর্জিত গ্রামগুলোকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করলে পিরোজপুর, চাপাইদ, কুড়াগাছাও অরণখোলা গ্রামের কিছু সংখ্যক শিক্ষাবান্ধব জন দরদী সাদা মনের মানুষ এগিয়ে আসে তাদের মধ্যে স্বর্গীয় বাবু সন্তোষকুমার ম্রং, স্বর্গীয় বিরাজিনী সাংমা, মৃত আনছার আলী ফকির, মৃত জয়নাল আবেদীন মাস্টার, মৃত জাবেদ আলী সরকার, মৃত আব্দুল হাকীম, মোঃ সেকান্দর আলী ও মোঃ আব্দুছ ছামাদ মৃধা অন্যতম। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্নে যে কয়েকজন ব্যক্তিত্ব তাদের গায়ের গাম জড়িয়েছেন তাদের মধ্যে ময়মনসিংহের গৌরীপুর নিবাসী সত্যব্রত সরকর, মিসেস মাফরোজা খানম। পিরোজপুর নিবাসী মোঃ আমান উল্লাহ মাস্টার, মোঃ এরশাদুল্লাহ মাস্টার, মোঃ লোকমান হোসেন মাস্টার ও কুড়াগাছা নিবাসী মোঃ উবায়দুল্লাহ মাস্টার অন্যতম। অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্নে যিনি সর্বাধিক অর্থ দিয়ে সাহায্য ও সহযোগীতা করেছেন তিনি হলেন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অন্যতম ব্যক্তিত্ব স্বর্গীয় রামজীবন সরকারের জামাতা আদিবাসী নেতা স্বর্গীয় বাবু সন্তোষ কুমার ম্রং। এলাকাবাসীর অনুরোধে স্বর্গীয় সন্তোষ কুমার ম্রং মহোদয় স্বর্গীয় রামজীবন সরকারের নামে বিদ্যালয়টির নামকরণের নিমিত্তে এককালীন ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা নিম্ন মাধ্যমিকের জন্য এবং এককালীন ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা মাধ্যমিকের জন্য সর্বমোট ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা এবং ১.৫০ একর জমি যার অনুমানিক মূল্য তৎকালীন ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকার অধিক অনুদান হিসাবে প্রদান করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চার/পাঁচটি গ্রামে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় উপজেলা সদরে অবস্থিত উচ্চ বিদ্যালয়ে এই সমস্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের ১০/১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পড়াশুনা করতে হতো। রাস্তা ঘাট গুলো এতই কাদাযুক্ত ছিল যে, বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় থাকতো না। ফলে উল্লেখিত গ্রামগুলোর ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারতোনা ফলে পিরোজপুর, চাপাইদ, কুড়াগাছা ও অরণখোলা গ্রামের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হত। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার যখন ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন ০১-০১-১৯৯৬ইং তারিখ হইতে প্রাথমিক স্বীকৃতি এবং ০১/০৪/১৯৯৯ইং সনে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে এম,পি,ও ভ্ূিক্ত করেন। ০১/০১/২০০০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে অনুমতি লাভ করে। বর্তমান সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ০১/০৪/২০১০ইং সন হইতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে এম.পি.ও ভূক্ত করেন। ফলে এলাকাবাসী সহ শিক্ষক/শিক্ষিকা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্ধ বর্তমান সরকার, আওয়ামীলীগ সরকার, শিক্ষাবান্ধব সরকারের নিকট চির কৃতজ্ঞ। যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ‘রামজীবন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়’টির শিক্ষার্থীরা প্রতি বৎসর পাবলিক পরীক্ষায় সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে চার/পাঁচ গ্রামের মধ্যে শিক্ষার আলো বিকশিত করিযা আসিতেছেন। যথাপোযুক্ত স্থানে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় লাল মাটি বেষ্টিত পাহাড়ীয়া অনুন্নত এলাকার চার/পাঁচটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যুগের চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু ভাবে শিক্ষা লাভ করিয়া নিজেদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই রামজীবন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা যুক্তি যুক্ত এবং স্বার্থক হয়েছেন।
সভাপতি ১জন, অভিভাবক সদস্য - ৫ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি-৩জন, কো-অপ্ট ০১জন, সদস্য সচিব/ প্রঃ শিঃ- ০১জন।
এসএসসি
২০১০ ৩৫ ২৮ ২৬ ৯৩%
২০১১ ৪৪ ৩৮ ৩৬ ৯৫%
২০১২ ৫৩ ৪৫ ৪৪ ৯৮%
২০১৩ ৫৮ ৪৬ ৪৬ ১০০%
২০১৪ ৫৩ ৫০ ৪৯ ৯৮%
জে.এস.সি
২০১০ ৭০ ৬৬ ৫৫ ৮৩%
২০১১ ৯৮ ৮২ ৭০ ৮৫%
২০১২ ৮৯ ৮০ ৭৭ ৯৬%
২০১৩ ১১৩ ৯২ ৮৫ ৯২%
মডেল বিদ্যালয় হিসাবে।
rumjibansmrity@yahoo.com. 01724-188964 |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস