Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খেলাধুলা ও বিনোদন

সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, শাল-গজারী বিথীর সুশীতল ছায়া ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্যতিলক, স্বর্ণাভ ইতিহাসের পটভূমি টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন জেলা ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে বাংলাদশের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে তার অবস্থান জানান দিচ্ছে বিগত ক্রীড়া কর্মকান্ডের মাধ্যমে। টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ঐতিহ্যমন্ডিত ও গৌরবময় অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। সুস্থ জাতি গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম ও ব্যাপক। খেলাধুলার মাধ্যমে নিমর্ল আনন্দ পাওয়া যায় এবং নিরোগ শরীর গঠন করা যায়। মানব সভ্যতার ক্রম বিকাশের সাথে ক্রীড়াঙ্গনের প্রবাহমানতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াঙ্গন শুধুমাত্র গণমানুষের চিত্তবিনোদন ও আনন্দের ভিত্তি ভূমি নয়। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াঙ্গন মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা ও অগ্রগতির বিস্তীর্ণ চলার পথে এক চিহ্নিত মাইল ফলক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গাইল জেলা ঊনিশ শতকের গোড়া থেকেই ক্রীড়া জগতে এক গৌরবময় ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজের বিদ্যমান সন্ত্রাস ও হিংসাত্মক কর্মকান্ড থেকে তরুণদের ফেরাতে ক্রীড়া চর্চা ও খেলাধুলা জরুরী হয়ে পড়েছে। যুব সমাজকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সুস্থ শরীর ও সুন্দর জীবন গড়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে থাকে ক্রীড়াঙ্গন। মানবিক এবং নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে যুব সমাজকে ক্রীড়াঙ্গন এর দিকে ফেরাতে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাছে এবং সফলতার মুখ দেখছে। স্বাধীনতা পরবর্তী টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। টাঙ্গাইল ক্রীড়াঙ্গন যমুনা, ধলেশ্বরী ও মধুপুর বন- এদের বাহু বন্ধনে এই টাঙ্গাইল জেলা। যমুনা ধলেশ্বরীর যৌবনের উত্তাল তরঙ্গের উম্মাদনা, মধুপুর বনের সৌম্য ও গম্ভীর ভাবমূর্তি আর সোনালি ফসলের নূয়ে পরা বদান্যতা এ জেলার মানুষগুলোকে নির্ভিক ও ঔদার্য্যে মহিমান্বিত করে তুলেছে। কি রাজনৈতিক, কি সামাজিক, কি সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে এই প্রভাব নব জাগরণের এক প্রশস্ত পথের সন্ধান যুগিয়েছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও এই প্রভাব একই ধারায় প্রভাবিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ, সম্মুখে বা নেপথ্যে টাঙ্গাইলের আত্মস্বার্থ ত্যাগী মহা তাপসের মত কত ব্যক্তিত্বই যে টাঙ্গাইলের ক্রীড়াঙ্গনকে পূর্ণ করে সমগ্র দেশ, দেশ ছাড়িয়ে এই উপমহাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সফলতার দ্বারে পেঁŠছে দিতে মিলিয়ে গেছেন তার অন্ত নেই। এঁদের স্মৃতি রোমন্থন করতে প্রথমে মনে স্থান পায় সন্তোষের মহারাজা স্যার মম্মথ রায় চৌধুরী। খাস ইংরেজ আমলেই তিনি ছিলেন আইএফএ’র সভাপতি। তিনি বহুদিন তৎকালীন ইন্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন এবং বেঙ্গল জিমখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে ক্রীড়া জগতে এক বিশেষস্থান অধিকার করে আছেন। সন্তোষের নামে আজও ‘সন্তোষ ট্রফি’ ভারতে চালু আছে। বাংলা কেন্দ্রীক তদানীন্তন সর্ব ভারতীয় ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করতেন সন্তোষ ও নাগরপুরের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসেবী জমিদারগণ এবং তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইষ্ট বেঙ্গল ক্লাবের সৃষ্টি হয়েছে। সন্তোষ, নাগরাপুর, মির্জাপুর, হেমনগরের ক্রীড়া পাগল জমিদারগণ কোলকাতা থেকে মোহামেডান, মোহন বাগান ও ইষ্ট বেঙ্গল দল এনে প্রতি বছর খেলার আনন্দের হাট বসাতেন। এ ছাড়া দেলদুয়ার, করটিয়া, মহেড়া, পাকুটিয়ার জমিদারগণ প্রজারঞ্জনের জন্য নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় ফুটবল দল গঠন করে উন্নতমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদকর্শন করেছেন। আলিসাকান্দা, এলাসিন, এলেঙ্গা, ধুবুরিয়া, বানিয়ারা, জামুর্কী, পাকুল্যা, ওয়ার্সী, ভূয়াপুর, নিকরাইল, গোপালপুর, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, কালিহাতি ও আরও কয়েকটি জায়গা ছিল ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র। এই সব ক্রীড়া কেন্দ্রে নিয়মিত উন্নতমানের খেলা হতো এবং খেলোয়ার তৈরি হতো। দেলদুয়ারের ‘টাইগার ক্লাব’ ও লোহানী স্পোর্টিং ক্লাব, ধুবুরিয়ার ‘কোহিনুর স্পোর্টিং ক্লাব’, মির্জাপুরের ‘দি রয়েল বেঙ্গল টাইগার’, টাঙ্গাইল শহরের ‘টাউন ক্লাব’, ‘মুসলিম রেনেসাঁ ক্লাব’, ‘ওয়াই.এম.এস ক্লাব’ আজকের প্রথম শ্রেণীর ফুটবল ক্লাবের চাইতেও শক্তিশালি ছিল। আজকের প্রবীণ খেলোয়াড়গণ আজও শ্রদ্ধার সাথে স্বীকার করেন যে, ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের খেলোয়াড়গণ শুধু টাঙ্গাইল বা এ অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনকেই মহিমান্বিত করেন নি, সমগ্র উপমহাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন কালু মিয়া যিনি কোলকাতা ইষ্ট বেঙ্গল ক্লাবে, ধুবুরিয়ার মোশারফ হোসেন কালা ইষ্ট বেঙ্গলে, মসদই এর ইয়াছিন খান এরিয়ান্স ক্লাবে, তাঁর ভাই ডাঃ ইয়াকুব আলী খান কোলকাতা মোহামেডান ক্লাবে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া এলাসিনের খোকা সাহা, গোপালপুরের মাখন, নাগরপুরের অমূল্য ভট্টাচার্য্য, ভাদগ্রামের গনেশ ভট্ট, মির্জাপুরের ননী গোসাই, টাঙ্গাইল শহরের ফটিক রায় ও রতুনাগ কোলাকাতায় বিভিন্ন ক্লাবে অংশগ্রহণ করে টাঙ্গাইলের ক্রীড়াঙ্গনের ঐতিহ্যকে গৌরবান্বিত করেন। তারপর দেশ ভাগ হলো ১৯৪৭ সনে। জন্ম নিল ভারত ও পাকিস্তান। তখন এ অঞ্চলের (সাবেক পূর্ব পাকিস্থান, বর্তমানে বাংলাদেশ) ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা। পঞ্চাশ দশকে বি.জি প্রেস ঢাকা লীগ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং সেই দলে খেলে টাঙ্গাইলের মসদই গ্রামের নফসা মল্লিক, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের এক ফুটবল টুর্নামেন্টর বি.জি প্রেসের নেতৃত্ব দেন। আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেন ধুবুরিয়ার ভানু যিনি সেন্টার হাফে অদ্বিতীয় ছিলেন। তিনি ইস্ট পাকিস্তান দলে খেলে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন। ষাট দশকের সমগ্র দেশে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন- তিনি হলেন ধুবুরিয়ার শোভা। পাকিস্তানে ‘কায়দে আযম ট্রফিতে’ তিনি পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। প্রথম ইস্ট পাকিস্তান ইয়ুথ টিমে খেলার সুযোগ পান টাঙ্গাইলের কৃতি ফুটবলার স্বপন সরকার ও মনোজ কান্তি বিশ্বাস। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন ধুবুরিয়ার খোরশেদ আলম বাবুল। ‘৮৮তে পাকিস্তান ‘কায়দে আযম ট্রফিতে’ বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন টাঙ্গাইলের কৃতি স্টাইকার মোস্তাক। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিজস্ব ক্রীড়াশৈলী দিয়ে সুযোগ করে নিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের কৃতি খেলোয়াড় উত্তম, পিযুষ নন্দী, রঞ্জন, কাকন, গোবিন্দ ও সাইফুল অনুর্ধ-১৬ জাতীয় দলের বজলু। এ ছাড়াও ‘৪৭ সনের পর থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা প্রথম লীগে প্রতি বছর টাঙ্গাইলের ২৫/৩০ জন খেলোয়াড় নিয়মিত বিভিন্ন ক্লাবে অংশগ্রহণ করে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখেছে। শেরে বাংলা কাপে জোনাল চ্যাম্পিয়ন, ‘৯১তে সোহরাওয়ার্দী ফুটবল কাপে চ্যাম্পিয়ন, ‘৯৫তে অনুর্ধ-১৪ মা-মনি জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ও ‘৯৬তে অনুর্ধ-১৪ বিমান জাতীয় ফুটবলে রানার আপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে । ১৯৭৪ সন টাঙ্গাইলের ক্রীড়াঙ্গনের এক সাড়া জাগানো বছর। ভারতের কাবাডি দল বাংলাদেশে এসেছিল কয়েকটি ম্যাচ খেলতে। কোথায়ও ভারতীয় দলকে হারাতে পারেনি। আলী হোসেনের নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের তেজদৃপ্ত নবীনেরা ভারতের বিজয়ের রথকে আটকিয়ে দিয়েছিল। ভারতীয় খেলোয়াড়গণ অবাক হয়েছিলেন, অবাক হয়েছিলেন ভারতীয় কাবাডি দলের ম্যানেজার- যিনি ব্যক্ত করেছিলেন ‘‘আমাদের এই পরাজয়ে অবাক হইনি, অবাক হয়েছি অখ্যাত বনে লুকিয়ে থাকা রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে দেখে।’’ সেই জয়ের সুধাশক্তি পেয়ে টাঙ্গাইল কাবাডি দলের যাত্রা শুরু হলো এবং এ নাগাদ তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানার্স আপ হবার দুর্লভ গৌরব অর্জন করে। রতন দাস বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলে ভারতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া আমির হামজা, মোতালেব, মেছের, মজনু ও আজগর বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলে অংশগ্রহণ করে টাঙ্গাইলের গৌরবকে উজ্জ্বল করেন। কাবাডির মত ভলিবলেও টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য গৌরবময়। সাফল্যের সোপান বেয়ে ‘৭৬ সনে জাতীয়, ‘৭৫ ও ‘৭৯ সনে জাতীয় ভলিবলে রানার্স আপ হয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে টাঙ্গাইলের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। জাতীয় ভলিবলে স্থান করে নেন নিখিল পাল, মিনহাজ, মিন্টু, শফি ও হুমায়ুন। অন্যান্য খেলার মত ক্রিকেটেও টাঙ্গাইল পিছিয়ে নেই। ‘৯৭ থেকে ২০০২ এ জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে পর পর দু’বার বিন্দুবাসিনী স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়। জাতীয় যুব'তে পর পর দু’বার জোনাল চ্যাম্পিয়ন নিঃসন্দেহে ক্রীড়ঙ্গনে টাঙ্গাইলের অবস্থাকে আশান্বিত করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট ও জাতীয় যুব দলে সাজ্জাদ, পাপন ও মানিক অংশগ্রহণ করে। প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে বর্তমানে টাঙ্গাইলের ৩০ থেকে ৩৫ জন ক্রিকেটারের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসা দাবীদার। ক্রীড়াঙ্গনে টাঙ্গাইলের মহিলা ক্রীড়াবিদদের ভূমিকা গৌরবময়। জাতীয় পর্যায়ে মহিলা কাবাডি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন ও এ্যাথলেটিকস এ টাঙ্গাইলের এক বিশেষ স্থান রয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ সাফ গেমস এ্যাথলেটিকস এ বাংলাদেশ দলে স্থান পেয়েছিল রোকেয়া ও বীনা, সাঁতারে ডালিয়া ও তানিয়া এবং জাতীয় পর্যায়ে আমিনা। জাতীয় ব্যাডমিন্টনে শামিমা সুলতানা মিতা ও হ্যান্ডবল রোকেয়া কৃতিত্বের স্বক্ষর রাখে। ‘৯৮ ও ৯৯ তে জাতীয় মহিলা ভলিবল চ্যাম্পিয়ন ও জাতীয় এ্যাথলেটিকস এ সাবিনা খাতুন ও কবিতা নিঃসন্দেহে ক্রীড়া ক্ষেত্রে টাঙ্গাইলের মহিলাদের সার্থক অগ্রগতির পরিচয় দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশের ক্রীড়া পরিমন্ডলে ছোট্ট জেলা টাঙ্গাইলের এমন গৌরবদৃপ্ত পদচারণা টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান পি.সি সরকারের কোন যাদুর কাঠির স্পর্শে নয়, অনেক ত্যাগী, নিঃস্বার্থ ও আত্মাভোলা ক্রীড়া সেবকের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। মনের অগোচরে ভেসে আসে সেই আত্মস্বার্থ ত্যাগী মহাযোগীর মত আলহাজ্ব আজগর খান, মাধব ও অনিল চৌধুরী, যতীন দেব, নগেন্দ্র চ্যাটার্জীর ক্রীড়া শিক্ষা, মুসলিম রেনেসাঁর লুৎফর রহমান বাচ্চু ভাই, আমিনুজ্জামান খান মিন্টু, দিঘুলীয়া ক্লাবের শহীদ মিজান ভাই, ইস্ট বেঙ্গলের তারাপদ দে, মীরের বেতকার তাজ মিয়া, পাক ইয়ং এর আমিনুল ইসলাম খান, এরিয়ান্সের অলিল দাস, ইস্ট পাকিস্তান স্পোর্টিং এর বাবুল নিয়োগী, পাক গ্রীন ক্লাবের মাখন, ইয়থ ক্লাবের দিলু ভাই, সালাউদ্দিন ক্লাবের হারুন, ইস্ট এন্ড ক্লাবের আলম এবং আরও অনেকে। মুক্ত চিন্তা, মহৎ প্রচেষ্টা ও নিঃস্থার্থ ত্যাগ কখনও বৃথা যায় না । ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড় কর্মকর্তা ও ক্রীড়া পাগল দর্শক সবারই অবদানে টাঙ্গাইলের ক্রীড়াঙ্গন আজ এক মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসেছে। তাই বলে থেমে থাকলে চলবে না । এগিয়ে নিতে হবে ও চালু রাখতে হবে এই অগ্রগতির চাকাকে। টাঙ্গাইল ষ্টেডিয়মে আন্তজার্তিক মান সম্পন্ন প্যাভিলিয়ন, গ্যালারী ও মাঠ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। খুব বেশি দূরে নয় টাঙ্গাইলই একদিন আন্তজার্তিক ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলার আসর বসবে। উৎসাহিত হবে খেলোয়াড়. জোয়ার আসবে ক্রীড় পাগল দর্শতদের সার্থক হতে অতীত ও বর্তমানের ক্রীড়া সংগঠকদের নিরালস প্রচেষ্টা। টাঙ্গাইলের ফুটবল ১৩০০ বর্গ মাইল নিয়ে আমাদের টাঙ্গাইল জেলা। এর চরাঞ্চল দিয়ে উর্মিমুখর কল প্রবাহে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা। অন্যদিকে গজারীর সবুজ পাতার ছন্দায়িত হিল্লোল মুখরিত পাহাড়ী অঞ্চল। টাঙ্গাইলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ আমাদের শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে গৌরবান্বিত করেছে। গরবিনী টাঙ্গাইল জন্ম দিয়েছে অনেক কৃতি সন্তানকে। তারা শুধু টাঙ্গাইলেরই নয় সারা জাতির গর্ব। সত্যি কথা বলতেকি ফুটবল ছিল এককালে টাঙ্গাইলবাসীর প্রাণের খেলা। শুধু টাঙ্গাইল শহরেই নয়, গ্রামে গঞ্জে ফুটবল নিয়ে মাতোয়ারা থাকতো লোকজন। সেই সময় নাগরপুর, ধুবুরিয়, দেলদুয়ার, সলিমাবাদ, আলিসাকান্দা, এলাসিন, বানিয়ারা, ছাওয়লী, মহেড়া, জামুর্কী, পাকুল্যা, মসদই, ওয়ার্সী, মির্জাপুর, পাকুটিয়া, মৌষামুড়া, নাগর পাড়া, বল্লা, ফুলকী প্রভৃতি গ্রামের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আমি নিজেও এ সব গ্রামে খেলেছি। তখন গ্রামে-গঞ্জে অনেক নাম করা ক্লাব প্রতিষ্ঠিত ছিল। ধুবুরিয়া কোহিনুর ক্লাব, দেলদুয়ারের লোহানী ক্লাব, নাগর পাড়ার ফুটবল ক্লাবের কথা আমরা জানি। জাতীয় জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতিকে সুস্থ, সবল, কর্মঠ, ও শক্তিশালী করতে, জাতির চরিত্র গঠনে ও জাতীয় চেতনার উম্মেষ ঘটাতে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিমেয়। খেলাধুলার মাধ্যমে দেশকে ভালবাসা যায়, দেশকে বড় করা যায় এবং দেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সার কথা হচ্ছে শরীর ও মনের সুষ্ঠু পরিচর্যার মাধ্যমে আসে জীবনের অমিত শক্তি এবং এর উপরই নির্ভর করে সার্বিক জাতীয় উন্নতি। এ দিক থেকে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া ও টাঙ্গাইলের খেলোয়াড়রা জাতীয় জীবনে খেলাধুলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেই সুদুর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত। খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফুটবলে টাঙ্গাইলের ছেলেরা অতীতে অনেক মূল্যবান অবদান রেখেছে। এক সময়ে টাঙ্গাইলের কৃতি খেলোয়াড়রা দেশের বাইরে খেলে অনেক সুনাম অর্জন করেছে। এদের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখ করা যায় মরহুম কালু খাঁন, যিনি আমাদের কাছে কালু নানা নামে পরিচিত ছেলেন। এ শতকের ত্রিশের দশকে তিনি কোলকাতা মোহনবাগানের খেলোয়াড় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই সময় নাগরপুর থানার ধুবুরিয়া নিবাসী মোশারফ হোসেনও মোহনবাগানের একজন কৃতি খেলোয়াড় ছিলেন। এদের সমসাময়িক সময়ে কোলকাতা ইস্টবেঙ্গল ও কালীঘাটে খেলতেন টাঙ্গাইলের আরও কয়েকজন কৃতি খেলোয়াড়। এরা হলেন এলাসিনের খোকা সাহা, গোপালপুর থানার মাকলা গ্রামের মাখন ঘোষ, নাগরপুরের ডাকরা নিবাসি অমূল্য ভট্টচার্য, ভাদ্রা গ্রামের গনেশ ভট্টাচার্য, মির্জাপুরের ননী গোসাই প্রমুখ খেলোয়াড় ছিলেন। ঐ সময়কার অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যে মদসইর ইয়াসিন আলী খান, ঢাকার আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের প্রখ্যাত খেলোয়াড় ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কোলকাতার এরিয়ান্স ক্লাবে খেলেছেন। ইয়াসিন খানের ভাই ডাঃ ইয়কুব আলী খান কোলকাতার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেছেন। ওয়ার্সীর শোভা কোলকাতার প্রথম বিভাগ ফুটবলে অংশ নিতেন। একই গ্রামের খালেক চুনিয়ার ও ওয়াজেদ ভ্রাতৃদ্বয় রক্ষণ ভাগে খেলতেন। এদেরকে চীনের প্রাচীর বলা হতো। মির্জাপুরের ননী গোস্বামী কোলকাতায় ইস্ট বেঙ্গলের সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলতেন। মির্জাপুরের ননী গোস্বামীর খ্যাতি সারা ভারতে ছরিয়ে পড়ে। ইস্ট বেঙ্গল দলে তখন আরও খেলতেন মির্জাপুরের চন্দ্র সাহা ও ওয়ার্সীর আব্দুর করিম খান। ঢাকা বি.জি প্রেসের মসদই গ্রামের নফসা মল্লিক খেলতেন। তিনি খেলায় প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। ধুবুরিয়ার ভানু ভাই সেন্টার হাফে অদ্বিতীয় ছিলেন। তিনি ঢাকায় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে খেলতেন । তিনি ইস্ট পাকিস্থান ব্লু দলের হয়ে প্রভূত সুনাম অর্জন করেছেন। ধুবুরিয়ার শোভা তৎকালে ঢাকার একজন শ্রেষ্ঠ সেন্টার ফরোয়ার্ড ছিলেন। এ রকম অনেক খেলোয়াড় যারা টাঙ্গাইলের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন । তাদের জন্য আমরা গর্ব বোধ করি। ১৯৪৭ সালের পর থেকে টাঙ্গাইলের ফুটবল আরও বেশী জমকালো হয়ে ওঠে। এ সময় মুসলিম রেনেসাঁ ক্লাব, অগ্রণী ক্লাব, টাউন ক্লাব, ওয়াইনেস ক্লাব, উদয়ন ক্লাব, প্রভৃতি ক্লাব উপহার দেয় কিছু কৃতি খেলোয়াড়ের। এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম তালুকদার, লাল মিয়া, মালা মিয়া, কাশিল নিবাসী মিনজু মিয়া, আব্দুস সালাম, রঘুনাথ, নুনিয়া, মসদইন মল্লিক, সুনীল দেব, আমিনুজ্জামান মিন্টু, নরেশ পাল, ফরিদ মিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীকালে আধুনিক ফুটবলের কিছু কৃতি খেলোয়াড় উপহার দেয় পাক ইয়াং ক্লাব এবং ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব, এরা হচ্ছেন- আমিরুল ইসলাম খান, নজরুল ইসলাম খান, ফারুকুল ইসলাম খান। ফারুকুল ইসলাম খান আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। মিজানুর রহমান, সাদ উদ্দিন আহমেদ বাবু, আতোয়ার রহমান খান, গোলাম রহমান ডল, সাইদুর রহমান মেথন, কালিপদ রায়, নগেন রায়, রঞ্জিত সরকার, স্বপন সরকার, জহর নিয়োগী, মনোজ কান্তি বিশ্বাস ঢাকা প্রথম বিভাগ লীগের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। জামুর্কীর পাপন ও রেজ্জাক, তারাপদ, মোঃ ফজল হক, হারুন-অর- রশিদ কৃতি খেলোয়াড় ছিলেন। দুলাল অনেক দিন ঢাকা ফায়ার সার্ভিসে নিয়মিত খেলেছেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যায় টাঙ্গাইলের তরুণ খেলোয়াড়েরা। টাঙ্গাইলের উঠতি কৃতি স্টাইকার মোস্তাক। বাংলাদেশের জাতীয় কিশোর দলের হয়ে ভারতে অসামান্য ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। সেই দলে টাঙ্গাইলের আরও দুইজন উদীয়মান কৃতি ফুটবলার উত্তম এবং পীযুষ নন্দী। এরা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছে। এর মধ্যে কয়েকজন কৃতি খেলোয়াড় টাঙ্গাইল দলের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট ও ফুটবলে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছে। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, ফারুকুল ইসলাম খান, গোলাম রহমান ডল ও স্বপন সরকার ঢাকায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। তৎকালে টাঙ্গাইলে ফুটবল লীগ খেলার সাথে সাথে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। এ ব্যাপারে মরহুম আজগর খান সাহেবের অবদান অনেক। তিনি টাঙ্গাইলের খেলধুলার বিশেষ করে ফুটবলের উন্নতির জন্য যথার্থ সহায়তা করে গেছেন। তিনি দুইটি টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেছেন। এগুলো হচ্ছে- রিজিয়া মেমোরিয়াল কাপ ও আরফান খান চ্যালেঞ্জ গোল্ড শীল্ড। বহু ক্লাবকে তিনি আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন। উল্লেখযোগ্য- বিন্দুবাসিনী স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক নগেন বাবু, রেনেসাঁ ক্লাবের বাচ্চু ভাই ও যতীন বাবুর অবদান ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরবর্তীকালে পরিচালনা ও উৎসাহী লোকের অভাবে টুর্নামেন্টগুলো বন্ধ হয়ে যায়। টাঙ্গাইলের ফুটবল জগৎ ঝিমিয়ে পড়ে এবং তার পরিাণামে এক সময় বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়। এতে করে ক্রীড়ামোদী মহল হয়ে পড়ে হতাশাগ্রস্থ। ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গনকে আবার সচল ও মুখরিত করা যায় তা নিয়ে আমরা ক্রীড়া সংস্থার সকলেই চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। এ নিয়ে জেলা প্রশাসাক মোঃ রেজাউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এইচ.এম. মাছুদ, অতিরিক্ত মহকুমা প্রশাসক এবং সাধারণ সম্পাদক (জেলা ক্রীড়া সংস্থা) আলী আকবর হোসেন আকন্দ সাহেবের সাথে আলোচনা করি। আমাদের প্রস্তাব ছিল ফুটবলের উন্নতির জন্য খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের সাথে সাথে একটি টুনামেন্টের ব্যবস্থা করা। আগ্রহের সাথে তারা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে জেলা কর্তৃপক্ষের মাথায় গোল্ড কাপের চিন্তা আসে। তারপর শুরু হলো জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ-৮০। শেরে বাংলা কাপ সহ অন্যান্য জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় টাঙ্গাইল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ফুটবল ছাড়াও টাঙ্গাইল অন্যান্য খেলায়ও যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে অনুষ্ঠি ত আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট টাঙ্গাইলের ফুটবলমোদী দর্শকদের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কাবাডি ও ভলিবল বহুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্রিকেটেও জোনাল চ্যাম্পিয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এবার জাতীয় যুব চ্যাম্পিয়নশীপে টাঙ্গাইল ক্রিকেট দল ভারতের জাতীয় কাবাডি দল ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে খেলতে এসে বাংলাদেশের জাতীয় দলসহ অনেক দলকেই পরাজিত করেছে। কিন্তু টাঙ্গাইলের জেলা দলের কাছে শোচনীয়বভাবে পরাজিত হয়। পুরুষদের পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মহিলা ক্রীড়াবিদরা ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। জাতীয় পর্যায়ে কাবাডি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও এ্যাথলেটিক-এ টাঙ্গাইলের এক বিশেষ চ্যাম্পিয়ান হন শামিমা সুলতানা মিতা। তিনি ভারতে ব্যাডমিন্টনে অংশগ্রহণ করেন। রোকেয়া ও মিতা বাংলাদেশ বিমানে নিয়মিত খেলেন। সকলের সার্বিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় খেলাধুলার উন্নতি ও বিকাশ ঘটুক। এক নজরে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থাঃ টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রস্থলে ১৯৩৮ সালে ১০.৫৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এর অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি স্টেডিয়াম, একটি জিমনেসিয়াম, একটি অত্যাধুনিক প্যাভিলিয়ন, সাঁতারের জন্য রয়েছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি পুকুর ও স্টেডিয়ামের বহিঃচত্বরে রয়েছে ৬০টি দোকান। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে আছে ১২টি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যে সকল বিষয়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ হয়ঃ টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতি বছর ১ম ও ২য় বিভাগ ফুটবল লীগ, আন্তঃ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট, জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল, ১ম বিভাগ, ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ, স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, এ্যাথলেটিক্স, বার্ষিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা, কাবাডি লীগ এবং প্রদর্শনী ম্যাচ, ভলিবল লীগ ও প্রদর্শনী ম্যাচ, দাবা টুর্নামেন্ট লীগ, হ্যান্ডবল লীগ এবং টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে থাকে। এছাড়া জাতীয় কোচ সমন্বয়ে বিভিন্ন বয়সের গ্রুপ ভিত্তিক ফুটবল প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন বয়সের গ্রুপ ভিত্তিক ক্রিকেট প্রশিক্ষণ, কাবাডী, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন ও এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করা হয়। ফুটবল ও ক্রিকেটে ঢাকার প্রিমিয়াম, ১ম বিভাগ লীগে এ জেলার প্রায় ৫০ জন খেলোয়াড় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ১২টি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নামঃ ১. সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, টাঙ্গাইল ২. মধুপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৩. ধনবাড়ী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৪. গোপালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৫. ঘাটাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৬. কালিহাতী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৭. ভূঞাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৮. সখিপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৯. বাসাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ১০. মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ১১. দেলদুয়ার উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ১২. নাগরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

ফুটবল, হা-ডু-ডু, ঘোরদৌড়, লাঠিবাড়ি,ক্রিকেট,কানামাছি ভৌ ভৌ